পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী

ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামে সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি চলছেই। উন্নয়ন প্রকল্পের ধীরগতির সাথে সমন্বয়হীতায় সড়কের অবস্থা বেহাল। এতে করে নগরবাসীকে প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনা এবং দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। গর্তে ভরা ভাঙ্গাচোরা সড়কে তীব্র যানজট স্থায়ী রূপ নিয়েছে। সামনে স্কুলে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা। বাতাসে ধুলো-বালিতে নাকাল হচ্ছে শিশু-কিশোরেরা। বাড়ছে নানা রোগ বালাই। বয়স্করাও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কবে নাগাদ সড়কে কাটাকাটির অবসান হবে তা কেউ জানে না।
দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী ৬০ বর্গ কিলোমিটারের চট্টগ্রাম নগরীর ১২০০ কিলোমিটার পাকা সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে। কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বছরের পর বছর ধরে সড়ক কাটা হচ্ছে। কোন কোন এলাকায় সড়ক কেটে ফেলে রাখা হয়েছে অর্ধযুগ ধরে। কোথাও আবার সংস্কারের পরই রাস্তা কাটা হচ্ছে। চট্টগ্রাম ওয়াসা তাদের দুটি প্রকল্পে পাইপ লাইন বসানোর জন্য ৭৫৫ কিলোমিটার সড়ক কাটছে। ওয়াসার এ কাটাকাটি চলবে ২০২২ সাল পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ, সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম ওয়াসা, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয়হীনতার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। নগরীর প্রধান সড়ক বিমানবন্দর সড়কের পতেঙ্গা সৈকত থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য কয়েক মাস ধরে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। সিমেন্ট ক্রসিং থেকে ফ্লোটিলা জেটি পর্যন্ত অংশে চলছে সড়ক সংস্কার কাজ। একই সড়কের চিটাগাং ড্রাই ডকের পর থেকে চিটাগাং বোটক্লাব পর্যন্ত অংশে সড়কের দুপাশে চলছে পতেঙ্গা টার্মিনাল (পিসিটি) নির্মাণ কাজ। বোটক্লাব থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দরের অদূরে পনের নম্বর ঘাট পর্যন্ত সড়কে চলছে উন্নয়ন ও ফুটপাত নির্মাণের কাজ।
চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পোর্ট কানেকটিং রোড এবং আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সম্প্রসারণ কাজ চলছে গত প্রায় তিন বছর ধরে। নগরীর বহদ্দারহাট মোড় থেকে সিঅ্যান্ডবি হয়ে কাপ্তাই রাস্তার মাথা পর্যন্ত সড়কটির একপাশ তিন বছরের বেশি সময় ধরে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য। পাইপ লাইন স্থাপনের জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসা সড়কটি দখলে নিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি করে। পরে সেটি সিটি কর্পোরেশনকে বুঝিয়ে দেওয়া হলেও সড়কটি সংস্কার কাজ করতে পারেনি কর্পোরেশন।
নগরীর বৃহত্তর আগ্রাবাদ, হালিশহর, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, বায়েজিদ, অক্সিজেন এলাকায় আরও কয়েকটি সড়কে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ চলছে ধীরগতিতে। এর উপর ওয়াসার রাস্তা কাটাকাটিতে পুরো নগরীর সড়ক অবকাঠামো বেহাল হয়ে পড়েছে। ওয়াসা কখন কোথায় রাস্তা কাটবে তা কেউ জানে না। সড়ক থেকে অলিগলিতে হানা দিয়ে ভাল রাস্তা কেটে পাইপ লাইন স্থাপন করছে ওয়াসা। এরপর কাটা রাস্তায় ইট-বালি রেখে চলে যাচ্ছে ঠিকাদারের লোকজন। অভিযোগ রয়েছে, সিটি কর্পোরেশন মাত্র কদিন আগে সংস্কার করেছে এমন রাস্তাও কেটে দিচ্ছে ওয়াসা। দুই সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠছে।
উন্নয়ন কাজে ধীরগতি আর সড়কে সমন্বয়হীন কাটাকাটির ফলে নগরীতে তীব্র যানজট হচ্ছে। এতে করে আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। অলিগলির রাস্তা কেটে রাখায় যানবাহনের পাশাপাশি মানুষের চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টি হলে কাঁদা-পানিতে সয়লাব হচ্ছে সড়কের আশপাশের বাসা-বাড়ি, দোকানপাট। আবার রোদের সময় ধুলায় ধূসর হচ্ছে এলাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।